রম্য রচনা কাকে বলে
![]() |
রাম্য রচনা কাকে বলে |
'রম্য' শব্দটির অর্থ রমণীয় অর্থাৎ মনোরম । যে রচনা সর্বাত্মক বিচারে রমণীয় বা মনোরম, তাকে ব্যাপক অর্থে রাম্যরচনা নামে অভিহিত করা হয়।
বাক্তিগত প্রবন্ধতের মতোই 'রম্য' রচনায় থাকে একটি রমণীয়তা, খেয়ালি কল্পনার অভাধবিস্তার এবং তথ্য ভাবের পরিবর্তে 'রচনারস সম্ভোগের' আস্বাদ্য মানতা।
তবে রম্য রচনাকে বাক্তিগত হতেই হবে এর কোন মানে নেই , তা বাস্তুগত কোন অবলম্বনকে উপলক্ষ্য করেও রচিত হিতে পারে।
'রম্য রচনা' পাণ্ডিত্যপূর্ণ বিচার বিশ্লেষণ থেকে পূর্ববতী এক লুঘু চালের সৃষ্টিমূলক গদ্যরচনা। এতে কোথাও থাকে খানিক গল্পের আভাস , আবার কোথাও একটু কাব্যের মাধুর্য , অন্য কোথাও আবার হয়তো হাস্যপরিহাসেরঅবকাশ।
নানা খণ্ডের বাহারি সমবায়ে এ এমন এক সৃষ্টি যার কোন ধরাবাধা লক্ষ্য থাকে না । প্রগ্ল্রভাতা ও চাপল্যের খানিক বৈঠকি চালে তা দিব্যি জমে উঠে ।এক কথ্য
কোন একটি প্রবন্ধকে যখন লেখক নিজের মনোমত রসকষ দিয়ে হাসি কৌতুকের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন, তাকেই রম্য রচনা বলে।
এই ধরনের রচনায় সবকিছুর আন্তরালের থাকে লেখকের প্রসন্ন দৃষ্টি । রবীন্দ্রনাথ যথার্থই বলেছেন 'এ ধনের রচনার মূল তার বিষয় গৌরবে নয় রচনার রস সম্ভোগে ।
বাংলা সাহিত্যের রম্য রচনার আন্যবদ্য শিল্পী সৈয়দ মুজতবা আলির, ভাষা ও ভুঙ্গির রম্যতায় অতি সাধারণ বিষয়ও তাঁর কলমে অসাধারন হয়ে উঠে ।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, প্রমথ চৌধুরী, সৈয়দ মুজতবা আলী, ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়, সুকুমার রায়, রাজশেখর বসু, শির্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, সঞ্জিব চট্টোপাধ্যায়
, নারায়ন গঙ্গোপাধ্যায়, আনিসুল হক সাহেব সহ আরও অনেকেই রম্য লেখক হিসেবে যথেষ্ঠ খ্যাতিমান।
0 Comments